
মাজহারুল ইসলাম (উজ্জ্বল)
কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় গন্ডা ইউনিয়নের গৈচাশিয়া গ্রামের মৃত আ: গফুর মাষ্টারের ছেলে মো: কামরুল ইসলাম (মাষ্টার) কে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করে একই গ্রামের আহম্মদ হোসেন গংরা।এ বিষয়ে কামরুল ইসলাম কেন্দুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
মঙ্গলবার (১৭ জুন)দুপুরের দিকে সরেজমিনে জানা যায়, কামরুল ইসলামের পৈত্রিক সম্পত্তির স্বত্ত্ব দখলীয় ভূমি জোর দখলের দাবীদার আহম্মদ হোসেন (৬২) পিতা-মৃত: খেদমত আলী, মালেক মিয়া (৪১), শামীম মিয়া (৩৫), জসিম মিয়া (২৩), ওয়াসিম (৩০) সর্বপিতা-আহম্মেদ হোসেন, আরমান (২০) পিতা- মালেক মিয়া সর্বগ্রাম-গৈচাশিয়া, কেন্দুয়া, নেত্রকোনা।
এ বিষয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, বিবাদী আহম্মেদ হোসেন গংরা বিভিন্ন সময়, রাস্তায় চলাফেরা করার সময় বিভিন্ন ধরনের ভয় ভীতি প্রদর্শন পূর্বক দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত থাকিয়া রাস্তা আটকের চেষ্টা করে এবং আমাকে বিগত দিনে রাস্তার মাঝে মারধর পর্যন্তও করেছে। এমনকি রামদা দিয়ে দৌড়াতে থাকলে আমি প্রাণের ভয়ে পালিয়ে বাচাঁর চেষ্টা করি। আমি এবং আমার পরিবারের লোকজন নিরীহ মানুষ হওয়ায় বাড়ি থেকে বের হতে পারি না।
এদিকে কামরুল ইসলামের ছোট ভাই জোবায়ের বলেন, আমাদের পৈত্রিক সম্পত্ত্বির ভূমিতে অনধিকার প্রবেশ করে একাধিক বাশঁজার হতে বাঁশ কেটে নিয়ে যায়, সেই সাথে কাঠাঁল গাছ, সুপারি গাছ ও আমাদের বাড়ির পিছনে থাকা পুকুরের মাছও তুলে নিয়ে যায়। বিবাদীগণ পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমাদের ভয় ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করে। এমতাবস্থায় আমরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।
এদিকে পার্শ্ববর্তী মামুন মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,কামরুলরা তিন ভাই, তিন জনই সরকারি চাকুরীজীবি আর পুরো পরিবারটাই একদম নিরীহ হওয়ায় তার পৈত্রীক ভিটাবাড়ির বাঁশ, কাঠাঁল গাছ, সুপারী গাছ ও পুকুরের মাছ তুলে নিয়ে যায়। নিয়ে যাওয়ার সময় কামরুলের পরিবার বাঁধা দিলে আহম্মেদ হোসেন ও গংরা মারধর করে ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বলে কামরুলের পরিবারের লোকজনকে মামলায় জড়িয়ে ভিটাবাড়ি থেকে উচ্ছেদ করবে।
এ বিষয়ে জমির জোর দখলদার আহম্মেদ হোসেনের ছেলে শামীম এর সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন, জায়গা জমির বিষয়ে কোর্টে মামলা চলমান রয়েছে, কিন্তু আমার বসতঘর ভাঙচুর করায় আমি কেন্দুয়া থানায় কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি।
এ বিষয়ে কামরুল ইসলামের অভিযোগের বরাত দিয়ে কেন্দুয়া থানার এএসআই বাদল মিয়া জানান, অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নেওয়া হবে।
