
মদন(নেত্রকোনা)প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনার মদনে আলশ্রী গ্রামে মনোহারী দোকানে টাকা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার(৯ জুন)দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে নারীসহ ১৮ জন আহত হয়।এর জেরে মঙ্গলবার(১০ জুন) রাতে এক পক্ষের সাতটি বসত ঘর ভাংচুর করে ঘরের যাবতীয় মালামাল লুটপাট করে নিয়ে গেছে। এমন কি সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর পাঠ্য বই জ্বালিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে বুধবার সরেজমিনে আলমশ্রী গ্রামে গেলে,দুলাল,তাপস,হিরণ মিয়া,ছেলাই, উজ্জল, রুকেল ও ছোটন মিয়া সহ সাত বসত ঘর ভাংচুর করার দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়।
এ সময় আলমশ্রী গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত দুলাল মিয়া,তাপস, হিরণ জানান,সংঘর্ষের জেরে মঙ্গলবার রাতে আমশ্রী গ্রামের, সুজা, শাহীন ,আজম,রিজন,জাহান, রুকন ও সংগ্রামের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক লোকজন আমাদের সাত বসত ঘর ভাংচুর করে ঘরের যাবতীয় মালামাল ধান,চাল , আসবাবপত্র ,নগদ টাকা ও শিক্ষার্থীদের পাঠ্য পুস্তক আগুনে পুড়িয়ে দেয়। এতে আমাদের সাত পরিবারের অর্ধকোটি টাকা ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। আমরা তো কোন দলের না।আমাদের কেন এই ক্ষয়ক্ষতি করা হল কিছুই বঝতে পারছি না।
এদিকে নোয়াগাও আফতাব হোসেন একাডেমির সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী অন্তর মিয়া জানায়, আমি কোন ঝগড়াতে জড়িত নাই। আমার বাবাও ঝগড়াতে গেছে না। এর পরেও কেন আমার বইগুলো আগুন দিয়ে পুড়েছে। আমাদের ঘরও ভেঙে ফেলেছে। আমি কার কাছে বিচার দেব?
আলমশ্রী গ্রামের বাচ্চু মিয়া জানান, আমি কোন পক্ষের না। তবে আমার ভাগ্নেরা একটি পক্ষে রয়েছে। আমি ভাংচুর লুটপাটের মধ্যে নাই।
একই গ্রুপের আজম,রিজন,জাহান রুকন জানান, প্রতিপক্ষের লোকজন প্রচার করছে আমরা নাকি ইয়াবা ব্যবসা করি। কেন আমাদের নামে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে ? আমরা ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত না। ষড়যন্ত্র করে আমাদের কে মিথ্যা অপবাদ দেয়। এ নিয়ে কোন ঝগড়াও হয়নি। ভাংচুরের ঘটনার সাথে আমরা জড়িত না।
মদন থানার ওসি নাঈম মুহাম্মদ নাহিদ হাসান জানান, এমন সংবাদের প্রেক্ষিতে এলাকায় পুলিশ প্রেরণ করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে কোন পক্ষ অভিযোগ দায়ের করেনি।
