সর্বশেষ
15 Nov 2025, Sat

মদনে সড়কের কাজ শেষ না করেই ঠিকাদার উধাও,দুর্ভোগে অর্ধলাখ বাসিন্দা

মদন(নেত্রকোনা)প্রতিনিধিঃ

নেত্রকোনার মদন- ফতেপুর সড়কের কাজ ফেলে রেখে উধাও হয়ে গেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

এতে দুর্ভোগে পড়েছে এ অঞ্চলের প্রায় অর্ধলাখ বাসিন্দা। ঠিকাদার উধাও হওয়ায় নির্বাহী প্রকৌশলী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে এ ব্যাপারে একটি কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছেন।

উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে,মদন-ফতেপুর সড়কে ১৩ কিলোমিটার এর মধ্যে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ৩ কিলোমিটারের কাজ পায় ইউনুস ব্রাদার্স নামীয় চট্রগ্রামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এর বরাদ্দ প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। কাজটি শুরু করে ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫,শেষ হওয়ার কথা ছিল ৫ জুন ২০২৫, তবে সামান্য কাজ করেই ঠিকাদার উধাও হয়ে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়ে অর্ধলাখ মানুষ। কাজ ফেলে ঠিকাদার উধাও হয়ে যাওয়ায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে ২৮ দিনের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব দেয়ার জন্য কারণ দর্শানোর জন্য একটি নোটিশ দিয়েছে নির্বাহী প্রকৌশল অফিস। তবে সন্তোষজনক জবাব না পেলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বাতিল করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
জানা যায়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঠিক তদারকির অভাব ও নিন্মমানের কাজের কারণেই এ সড়কের বেহাল দশা। সড়কটি দ্রুত সংস্কার না করলে যান চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়বে। এ সড়কে ৪টি সেতুও ঝুঁকিতে রয়েছে। দুটির ব্রীজ ভেঙে গেছে। ভারীযানবাহন চলাচল করতে পারছে না। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।উপজেলার ২৫টি গ্রামের অর্ধলাখ লোকজনের কৃষি,ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন কাজের ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে তাই সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয়রা।

ইউপি চেয়ারম্যান সামিউল হায়দার শফি জানান,১৩ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ৩ কিলোমিটার কাজ শুরু হয়েছিল।মানুষ আশার আলো দেখতে শুরু করেছিল।কিন্ত সামান্য কাজ করেই কেন যেন বন্ধ হয়ে গেছে তা আমরা জানি না।এ সড়কটির অবস্থা খুবই নাজেহাল। তাই দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি জানান তিনি।

উপজেলা প্রকৌশলী এস এম শাহদাত হোসেন বলেন,এ সড়কে ১৩ কিলোমিটারের মধ্যে ৩ কিলোমিটারের কাজ পায় ইউনুস ব্রাদার্স নামীয় চট্রগ্রামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।১০% থেকে ১৫% কাজ করেই আর কোন কাজ করছে না।এতে জনগনের দূর্ভোগ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বিষয়টি নির্বাহী প্রকৌশল স্যারকে অবগত করা হলে তিনি ঠিকাদারকে একটি কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করেছেন।

নেত্রকোনা নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, ৩ কিলোমিটার রাস্তার কাজ পান ইউনুস এন্ড ব্রাদার্স নামীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি সামান্য কাজ করে ফেলে রেখেছে। যা জনগণের আরও দুর্ভোগ বেড়েছে। কেন কাজটি বন্ধ রেখেছে তাও জানি না। ফলে ঠিকাদারকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়েছে। উপযুক্ত জবাব না পেলে ওই ঠিকাদার বাতিল করে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হবে। বাকী ১১ কিলোমিটারের কেন বরাদ্দ হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে আরও বলেন, নতুন একটি প্রজেক্ট আসছে এখান থেকে বাকী কাজ করা হবে।

কার্য এলাকায় কোন সাইন বোর্ড না পাওয়ায় এমন কি উপজেলা প্রকৌশল অফিসে যোগাযোগ করে ঠিাকাদারী প্রতিষ্ঠানের কোন মোবাইল নম্বর না পাওয়ায় ঠিকাদারের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *