সর্বশেষ
15 Nov 2025, Sat

মদনে হত্যা মামলার জেরে বাড়ি ঘরে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট

মদন(নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ

হত্যা মামলার জেরে নেত্রকোনার মদনে আসামিদের বাড়িতে দফায় দফায় হামলা,ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটছে। লুটপাটের ঘটনায় মামলা হলেও আসামিরা জামিন পেয়েছে। লুটপাট ও বসত বাড়ি ভাংচুর না থামানোয় আসামিদের পরিবারগুলো আশ্রয় নিয়েছে স্বজনদের বাড়িতে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ মে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে উপজেলার বারবুড়ি গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে ১২ জন আহত হয়। সংঘর্ষ গুরুতর আহত লাহুত মিয়া (৪৫) নামের এক কৃষক চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪ দিন পর মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আবুল বায়েছ বাদী হয়ে ৩৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ১০/১২ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে গত ১৭ মে মদন থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার পর থেকে আসামিরা গ্রেপ্তারের ভয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এই সুযোগে বাদী পক্ষের লোকজন আসামিদের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।

এ দিকে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় হত্যা মামলার আসামি মানিক মিয়ার স্ত্রী হাসনা আক্তার বাদী হয়ে ৭১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৫০/৬০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। ওই মামলায় আসামিরা জামিন পেয়ে আবার ভাংচুর করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

এ ব্যাপারে হত্যা মামলার আসামি পক্ষের হাসনা আক্তার, রিনা আক্তার, মুসলিম উদ্দিন, জমিলা আক্তার বলেন,’সংঘর্ষে লাহুত মিয়া মারা যাওয়ার পর মামলা হয়েছে। আমাদের লোকজন বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। পুরুষ মানুষ বাড়িতে না থাকায় বাদীর পক্ষের লোকজন আমাদের বসত বাড়িতে হামলা করে ভাংচুর চালাচ্ছে। বসত ঘরের আসবাবপত্র, ধান, চাল, গরু, ছাগল যা কিছু আছে সব লুটপাট করে নিয়ে গেছে। আমাদের থাকার মত কোন ঘর তারা রাখেনি। আমরা এখন স্বজনদের বাড়িতে বসবাস করছি।’

বাদীপক্ষের মাঈনুল ইসলাম জানান, ‘মানিক মিয়া ও তাদের লোকজন আমাদের লাহুত মিয়াকে হত্যা করেছে। এ সময় আমাদের বাড়ি ঘর ভাংচুর করেছে। তারা নিজেরাই এখন তাদের বাড়ি ঘর ভাংচুর করে আমাদের দোষ দিচ্ছে।’

এ ব্যাপারে মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাঈম মুহাম্মদ নাহিদ হাসান, ‘ বারবুড়ি গ্রামে সংঘর্ষ একজন নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের বাড়ি ঘর ভাংচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে পুলিশ চেষ্টা করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *