মদন(নেত্রকোনা)প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনার মদন উপজেলায় বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির (চলতি দায়িত্ব) আহবায়ককে অবগত না করে কমিটি গঠন করায় অবৈধ কমিটি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রামদাস খিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সমিতির আহবায়ক জিয়াউল হক চৌধুরী
বৃহষ্পতিবার(২২ মে) মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি এ দাবী করেন। এ সময় তিনি বলেন, গত ১৫ দিন পূর্বে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির অফিসে সকল শিক্ষকদের উপস্থিতিতে এবং সর্বসম্মতি ক্রমে আমাকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করে। এ সময় সিন্ধান্ত থাকে যে প্রধান শিক্ষক(চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত) ১০ গ্রেড বাস্তবায়নের আগ পর্যন্ত এ আহবায়ক কমিটি বহাল থাকবে। আমি গত ১৭ মে থেকে মদন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পায়ে ইনজুরি জনিত কারণে চিকিৎসাধীন আছি। এমতাবস্থায় কয়েকজন অতি উৎসাহী শিক্ষক আমাকে না জানিয়ে গোপনে গত ১৮ মে জাহাঙ্গীরপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক এ,এম, শাহ আতিকুর রহমান কে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক মাও: শামসুল আলম কে সাধারণ সম্পাদক এবং প্রধান শিক্ষক শাহীন সুলতানা কে সাংগঠনিক সম্পাদক করে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতি (চলতি দায়িত্ব) তিন সদস্য বিশিষ্ট মদন উপজেলা কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করে। আমি এ অবৈধ কমিটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং অনতিবিলম্মে এ কমিটি ভেঙে নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার জন্য আপনাদের মাধ্যমে দাবী করছি।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক এ,এম, শাহ আতিকুর রহমান ৫ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটির সত্যতা স্বীকার করে বলেন,জিয়া স্যার অসুস্থ থাকায় আমাদের কমিটি গঠন করার সময় তিনি উপস্থিত হতে পারেনি।তাছাড়া তাকে আমরা বলিওনি। এ কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে আমি পক্ষে ছিলাম না।সে আমার বন্ধু মানুষ আমি তাকে গতকাল রাতে হাসপাতালে গিয়ে বিষয়টি বুঝিয়ে এসেছি।
