সর্বশেষ
15 Nov 2025, Sat

মদনে কাবিখা প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ

মদন(নেত্রকোনা)প্রতিনিধিঃ

নেত্রকোনার মদনে কাবিখা প্রকল্পের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের লোকজন নিয়মিত মনিটরিং না থাকায় এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে সচেতন মহল মনে করছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কাবিখা প্রকল্পের আওতায় উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের পদারকোনা বেড়িবাঁধ হতে আব্দুর সহিদের জমি পর্যন্ত রাস্তা পূর্ণ:নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ১লাখ ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ পায়। প্রকল্পের সভাপতি ইউপি সদস্য সোহেল মিয়া ১০-১২ হাজার টাকার নামে মাত্র কাজ করে অর্থ আত্মসাৎ করে। এ নিয়ে এলাকার সচেতন মহল প্রতিবাদ করলে আর কোন কাজ করবে না বলে হুমকি দেয় ইউপি সদস্য সোহেল মিয়া ও প্রকল্পের সাধারণ সম্পাদক রহিছ মিয়া।
এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে রোববার প্রকল্প এলাকায় গেলে, ১০ /১২ হাজার টাকা মাটি কাটার দৃশ্য পাওয়া যায়। তবে সরকারের নিয়ম অনুযায়ী প্রকল্প এলাকায় বরাদ্দের সাইন বোর্ড থাকার কথা থাকলেও কোন সাইন বোর্ড পাওয়া যায়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, এ প্রকল্পটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে সরকার এ প্রকল্পের আওতায় কত টাকা বরাদ্দ দিয়েছে, তাও আমরা জানি না। আমরা শুনেছি এখানে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার প্রকল্প। অথচ এখানে ১০ হাজার টাকা ব্যয় করেছে। কেউ প্রতিবাদ করলে প্রকল্প কমিটি তাদের হুমকি দেয়। তাই প্রকাশ্যে কেউ মুখ খোলতে সাহস পায় না। আমরা চাই কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সরজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। বিষয়টি মনিটরিং করার জন্য আমরা প্রকল্প অফিসে বারবার গেলেও তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি।

প্রকল্পের সাধারণ সম্পাদক একে এম রহিছ উদ্দিন বলেন, আমি এখন বাসায় আছি। আপনাদের সাথে স্বাক্ষাতে কথা বলব।
প্রকল্পের সভাপতি সোহেল মিয়া জানান, আমি কাজ করতে চাই। তবে প্রকল্পের সাধারণ সম্পাদক রহিছ মিয়া আমাকে বলেন, যতটুকু মাটি কাটা হয়েছে, ততটুকুই হবে। কেউ যদি এ ব্যাপারে কথা বলে আমি বিষয়টি দেখব।

প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, এ প্রকল্পটি সরজমিনে পরিদর্শন করবো। এ প্রকল্পের অর্ধেক বিল পরিশোধ করা হয়েছে। অনিয়ম থাকলে বাকি বিল দেয়া হবে না।

উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা ও মাঘান ইউপির প্রশাসক আবুল কালাম আজাদ বলেন, আপনারা এসব প্রকল্প দেখেন। কাজ হচ্ছে কি না আমি প্রকল্পের সভাপতির সাথে এ ব্যাপারে কথা বলব।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার অলিদুজ্জামান জানান, এমন অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। অর্ধেক বিল এখনো বাকি রয়েছে তা আর দেয়া হবে না। কাজের শুরুতেই অর্ধেক বিল উত্তোলণ করা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, যদি কাজ না করে টাকা নিয়ে থাকে এরও ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *