সর্বশেষ
15 Nov 2025, Sat

কেন্দুয়ায় অবশেষে মালিক ফিরে পেলেন নিজ বাসা

কোহিনূর আলম, কেন্দুয়া (নেত্রকোণা)প্রতিনিধিঃ

নেত্রকোণা’র কেন্দুয়া উপজেলায় দীর্ঘদিন যাবত বাসা ভাড়া নিয়ে দখলে থাকা ভাড়াটিয়ার কাছ থেকে অবশেষে বাসা বুঝে পেয়ে সংবাদ সম্মেলন করলেন মালিকের ছেলে মুফতি ফাহিম বিল্লাহ হাশিমী।

শনিবার (১৭ মে) বিকালে মুফতি ফাহিম বিল্লাহ হাশিমী কেন্দুয়া পৌরসভার সাউদপাড়া মোড় সংলগ্ন ফিরে পাওয়া বাসায় এ সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বাসাটি মূলত আমার মায়ের নামে। ১৯৯৭ সালের দিকে বাসাটি নির্মাণ করি,এরপর ভাড়া দিই ।ভাড়া নেয়ার পর সিরাজ মিয়া,তার ছেলেরা,আঠারবাড়ীর বাবুল ও তৎকালীন আওয়ামী লীগের শাসনামলেের স্হানীয় নেতৃবৃন্দ এবং কেন্দুয়া পৌরসভার মেয়রের যোগসাজশে সাদেক স্যারের ছেলে সাবেতের কাছ থেকে ফলস দলিল করে বাসাটি অবৈধভাবে দখলে নেয়। আমরা বারবার আমাদের বাসা বুঝে নিতে গেলে ভয় ভীতি ও হুমকি দিয়ে বের করে দেয় । স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি একাধিকবার । অবশেষে জনপ্রিয় নেতা ড.রফিকুল ইসলাম হিলালীর হস্তক্ষেপে উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও পুলিশ প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় ও আলোচনার মাধ্যমে বাসাটি ফিরে পাই। এতে আমি ও আমার পরিবার অত্যন্ত আনন্দিত এই জন্যে যে, আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি । অন্যদিকে দায়েরকৃত মামলা কিভাবে ডিসমিস করা যায় সে বিষয়েও পদক্ষেপ নেয়া হবে । তিনি আরো বলেন, বাসা ফেরত পাওয়ার ক্ষেত্রে বিএনপির নেতৃবৃন্দের সাথে অর্থ লেনদেনের যে তথ্য প্রচার হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও গুজব । বরং ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী সাহেব তাঁর নেতাকর্মীদের ডেকে বলেছেন, এই বাসা একজন আলেমের,কোনভাবেই যেনো অন্যায় – জুলুম না হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মুফতি ফাহিম বিল্লাহ হাশিমীর আপন ভাই মুফতি নাঈম বিল্লাহ হাশিমী, তাঁর চাচাতো ভাই পলাশ ভূঞা ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

উল্লেখ্য গত ১০ মে দুপুরে মুফতি ফাহিম বিল্লাহ হাশিমী ও তাঁর লোকজন এই বাসা ফিরে পেতে গেলে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় ৮ জন আহত হয় এবং নাঈম বিল্লাহ হাশিমী বাদী হয়ে ৮ জনের নামে একটি মামলাও দায়ের করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *