সর্বশেষ
15 Nov 2025, Sat

মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচার আকুতি অসহায় দিনমজুর সাজ্জল ও তার পরিবারের

ডেস্ক রিপোর্টঃ

মো. সাজ্জল মিয়া একজন গরীব অসহায় মানুষ। ৩ ছেলেমেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে তার পরিবার। দিন এনে খেয়ে কোনরকম বেঁচে আছে। সাজ্জল প্রতি মৌসুমে লোকের বাড়ী ও জমিতে কাজ করে। তারপরও সুখী ছিলো তার পরিবার।
কিন্তু এরই মাঝে বাঁধ সাধে বাবার আশ্রয় দেওয়া সাথী আক্তার ওরফে শিখা। পরপর মিথ্যে অপবাদ দিয়ে ২টি মামলা করে কিছু করতে না পেরে অবশেষে তার নামে ধর্ষণের মতো জঘন্য মামলায় তাকে ফাঁসাতে নেত্রকোণার বিজ্ঞ আদালতে মামলা দেয় মামলাবাজ ওই সাথী আক্তার শিখা( যার মামলা নং- নারী ও শিশু মোকদ্দমা নং -৪৪৮/২০২৪, ধারা – নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন – ২০০০ (সংশোধিত ২০২০) এর ৯(১)৩০)।

মো. সাজ্জল মিয়া নেত্রকোণা সদর উপজেলার আমতলা ইউনিয়নের কাটাখালি গ্রামের মৃত আ. খালেকের ছেলে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাজ্জল মিয়া লোকের জমিতে ধান কাটার কাজ করছেন। তার স্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে জানান,উনি বিলে ধান কাটতে গেছেন।

মামলার বিষয়ে স্ত্রী তাহেরা আক্তারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাদী সাথী আক্তার ওরফে শিখা পিতা- নূরুল হক, একজন মানসিক প্রতিবন্ধী টাইপের মহিলা এবং মামলাবাজ, কিছু হলেই তাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। তার স্বামী সাজ্জল একজন বিনয়ী, ভদ্র ও সহজ সরল টাইপের মানুষ,লোকের বাড়ী কাজ করে সংসার চালায়। কিন্তু তার নামে এই মিথ্যা মামলা দেওয়ার পর থেকে তিনি লুকিয়ে, পালিয়ে থেকে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন।

এ ব্যাপারে সাজ্জল বলেন, আমি গরীব মানুষ, আমার এলাকায় খোঁজ নিয়ে জিজ্ঞেস করলে পাবেন আমি কেমন লোক। আমি লোকের বাড়ী কাজ করে সংসার চালাই, আমার ৩টি ছেলেমেয়ে নিয়ে খুব কষ্টে দিন চালাচ্ছি। হীন উদ্দেশ্যে এরই মধ্যে সাথী আক্তার ওরফে শিখা আমার নামে মিথ্যা হয়রানি ও মানহানি মূলক ধর্ষণ মামলা করেছে। যা একটুও সত্য নয়। সাথী আক্তার ওরফে শিখা সম্পর্কে আমার বড় বোন হয়। আমার বাড়ীতে কোন লোক বা মেহমান আসলেও সে তাদের সাথে খারাপ আচরণ করে। সাথী আক্তার ওরফে শিখা ও আমার ঘর পাশাপাশি। সেই সুবাদে আমার ঘরে এটা সেটা নিতে এলে না দিলেও খারাপ আচরণ সহ গালাগালি করে থাকে। আমি অসহায় মানুষ প্রশাসনের কাছে এর সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে মিথ্যা মামলা থেকে আমাকে মুক্তি দিতে করজোড়ে মিনতি করছি।

প্রতিবেশি ইমরান বলেন,সাথী আক্তার নাম আছে কি না আমি জানি না আমি বাদীকে শিখা নামেই চিনি। ওই মেয়েটা এবং সাজ্জল দুজনই আমার প্রতিবেশি। এর আগে শিখা আরও দুটি মামলা করেছিলো সাজ্জলের নামে কিছু করতে পারে নাই দেখে পরে আবার তার নামে এমন জঘন্য ধর্ষণের মতো মামলা করেছে সাজ্জলের নামে। তাছাড়া শিখা এক ধরনের মানসিক প্রতিবন্ধী টাইপের বলে মনে হয় আমার কাছে। সাজ্জল গরীব কিন্তু একজন বিনয়ী ভদ্র ছেলে, সে বয়সে আমার অনেক ছোট। সাজ্জলের দুই ভাই জীবিকার তাগিদে ঢাকায় থাকে। ওই ভাইদের নামেও শিখা মামলা করেছে।

এছাড়া স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বললে তারা জানান, সাজ্জল একজন গরীব অসহায় মানুষ, তার ছোট ছোট ৩ ছেলেমেয়ে নিয়ে খুবই কষ্টে দিনযাপন করে। সে এরকম ঘৃণিত কাজ করতে পারে না। তাছাড়া সবাই বলেন, শিখা আক্তার একজন অশৃঙ্খল মানসিক প্রতিবন্ধী টাইপের মহিলা।

এ ব্যাপারে সাথী আক্তার ওরফে শিখার সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি কথা বলতে রাজী হননি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) তাহের উদ্দিন খান মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে জানান,মামলা তদন্তনাধীন আছে,মেডিকেল রিপোর্ট আসলে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। আসামী সাজ্জল পালিয়ে বেড়াচ্ছে,গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *