সর্বশেষ
15 Nov 2025, Sat

হাঁস খামারি সন্তোষ মিয়ার স্বপ্ন ভাঙ্গার দায় কার?

কোহিনূর আলম, কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ

মো. সন্তোষ মিয়া একজন হাঁস খামারি । তাঁর স্বপ্ন ছিলো আরও একটি খামার গড়ে তোলা । আটপৌরে জীবনের হিসেব নিকেশ মাড়িয়ে একটু মেরুদণ্ড সোজা হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা ছিলো আপ্রাণ । তাঁর ২ ছেলে পঙ্গু ও ২ মেয়ে বিবাহিত । গ্রামের বাড়ি নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের বেজগাতি (হাওর এর বাড়ি) ।

মো. সন্তোষ মিয়া ১লাখ ৯০ হাজার টাকা পুঁজি দিয়ে ২১০০শত হাঁসের বাচ্চা নিয়ে স্বপ্ন বুনছিলেন — পুঁজিতে সুদের ৫০ হাজার টাকা ও হাঁসের বাচ্চাদের খাবারের দোকান বাকী ৪০ হাজার টাকা মিটিয়ে নিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর ।

গত ৮ মে ভোরে প্রতিদিনের মতো খামার থেকে হাঁসের বাচ্চাদের খামারের কাছেই একই গ্রামের মুসলেম উদ্দিনের পানি জমাট ও পতিত জমিতে চড়াতে নিয়ে যান এবং কিছু সময়ের মধ্যে বাচ্চাগুলো মুখ দিয়ে ফেনা বের করে ধড়পড়িয়ে মারা যায় । এতে প্রায় আড়াই লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় তাঁর । পরপরই ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন -কেন্দুয়া থানা পুলিশ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ সাখাওয়াত হোসেন তারেক হাঁসের পোস্টমর্টেম করে নিশ্চিত করেন, কোন রকম ইন্সপেকশন বা রোগ বালাই ছিলো না । প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পয়জনিং কারণে এদের মৃত্যু হয়েছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মতিউর রহমান মুঠোফোনে জানান, আমরা স্যাম্পল সংরক্ষণে রেখেছি ।
পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশনা এখনো পাইনি । সোমবার অফিস খুলবে । বিষয়টি আমি দেখবো ।

এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, অজ্ঞাতনামা বিবাদি বা বিবাদিদের আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি । মৃত হাঁসের স্যাম্পল ক্যামিকেল টেস্টের জন্য প্রাণিসম্পদ অফিস কাজ করবে । পুলিশ প্রশাসন কর্তৃক প্রাণিসম্পদ অফিসকে কোন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঠিক আছে আমি কথা বলছি । তিনি আরো বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে ।

স্থানীয়দের দাবি মো. সন্তোষ মিয়ার মতো মানুষের স্বপ্ন ভাঙ্গার পেছনে কী বা কারা দায়ী তা উন্মোচন করা হোক এবং সেই সাথে তাঁর পাশে দাঁড়াতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *