ডেস্ক রিপোর্টঃ

নেত্রকোণা’র দুর্গাপুর উপজেলায় কাকৈরগড়া ইউনিয়নের গন্ডাবের গ্রাম নিয়ে ধারাবাহিকভাবে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট সংবাদ প্রচারে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।গত ১৬ এপ্রিল ২০২৫-এ ময়মনসিংহের একটি গণমাধ্যমে ‘দূর্গাপুরে দখল,ভয় ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে জনগণের আর্তনাদ, প্রশাসনের সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন ‘শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে এলাকাবাসী।সরেজমিনে গন্ডাবের গ্রামে গিয়ে গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে এই সংবাদের সত্যতা পাওয়া যায়নি।কাকৈরগড়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আব্দুর রহমান, গন্ডাবের গ্রামের মানিক মিয়া, সিদ্দিকুর রহমান,নজরুল, মোবারক, বাবুল মিয়া, নগুয়ার ইলিয়াস মিয়া,শাওন, শওকত, বাউরতলা গ্রামের সাকিব, ফজলু, হাদিস মিয়া সহ এলাকার কয়েকটি গ্রাম গন্ডাবের,নগুয়া,বাউরতলা,জয়নগর,বিলাতলা,বিলাসপুরের জেলে সম্প্রদায় ও প্রায় দুই শতাধিক গ্রামবাসীর সাথে এই প্রতিবেদকের কথা হয়।তারা বলেন,’আমাদের গন্ডারের গ্রামে-এমনকি কাকৈরগড়া ইউনিয়নে কোন সিন্ডিকেটের প্রভাব নাই, অবিচার নাই, চাঁদাবাজ নাই, কোন প্রকার রাজনৈতিক চাপ নাই, সরকার স্বীকৃত কার্ডধারী জেলে সহ গন্ডাবের গ্রাম ও আশেপাশের এলাকার সকল শ্রেণীর মানুষই অবাধে নদী ও ডোবা জলাশয় থেকে মাছ আহরণ করে যাচ্ছে। অথচ এলাকার হলুদ সংবাদ কর্মী আলী সোবান ও তার ছেলে মামুন এলাকা সম্পর্কে ধারাবাহিকভাবে মিথ্যা সংবাদ করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। অথচ সাংবাদিক আলী সোবানের পারিবারিক লোক মানিক,আসাদ, রতন বিগত ১৭ বছর আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে সিন্ডিকেট করে নদী ও জলাশয় থেকে কার্ডধারী জেলেদের তাড়িয়ে দিয়ে নিজেরাই মাছ ধরতো ও ব্যবসা করতো। এছাড়া সাংবাদিক আলী সোবান গ্রামে চারটি নাম সর্বস্ব ভুয়া প্রতিষ্ঠান-গন্ডাবের অটিস্টিক স্কুল,জান্নাতুল ফিরদাউস এতিমখানা, জান্নাতুল ফিরদাউস মহিলা মাদ্রাসা, অটিস্টিক স্কুল এন্ড পাঠাগার ২০২০ সাল থেকে চালাচ্ছেন, কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোন ছাত্র-ছাত্রী, এতিম ও অফিসের কোন লোক কখনো পাওয়া যায়নি।আমরা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।এলাকাবাসী আরো যোগ করেন,’আমাদের এলাকার ছেলে লিটন খান সাংবাদিক আলী সোবান ও তার সিন্ডিকেট থেকে এলাকাবাসীকে মুক্ত করায় উল্টো তার নামে প্রশাসনের কাছে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। অথচ লিটন খান নিজ উদ্যোগে গ্রামের রাস্তাঘাট সহ এলাকাবাসীর উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা এখন প্রাণ খুলে কথা বলতে পারছি, গ্রামের নিরীহ সাধারণ মানুষেরা নির্ভয়ে তাদের স্ব স্ব কাজকর্ম করে যাচ্ছে।আমরা হলুদ সংবাদ কর্মী আলী সোবান ও তার ছেলে মামুনের মিথ্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
এই এলাকার জেলে সহ সাধারণ লোকজন অবাধে নদীতে মাছ ধরতে পারার জন্য এবং আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এলাকায় শান্তি বিরাজ করার জন্য কাকৈরগড়া ইউনিয়নের নব নিযুক্ত প্রশাসক বিজন কান্তি ধর ও দুর্গাপুর উপজেলার ইউ এন ও মহোদয়কে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে এলাকাবাসী।
প্রকাশিত সংবাদের বিষয়ে জানতে চাইলে দুর্গাপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর বলেন,’কাকৈরগড়া ইউনিয়নের গন্ডারের গ্রামে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রশাসক বিজন কান্তি ধর পরিদর্শন করেন।কিন্তু এলাকার মানুষ তাদের কাছে কোন অভিযোগ উল্লেখ করেননি। আমাদের সাথে তাদের প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রয়েছে।
