এ আর আলম
এই ত্রিমুখী নর্দমার পথ ধরে
যে পথচারী দীর্ঘকাল গোপনে
হাসতে হাসতে মিলিয়ে যেত
বারো চান্দের বেরসিক বারো জোৎস্না
উৎসব-মুখর ছিলো তবু নাদানের দল।
অনন্ত উত্তেজনা যার বাঁ পাঁজরে
সুরত বুঝতে ব্যার্থ সে দালাল
ঘরোয়া পাতিলে মুখ ডুবাতে থাকে
সম্পর্ক এখানে বন্য-শুয়ার! হাস্যকর-
সেখানে রক্তাক্ত বন্ধনগুলো প্রতিদিন।
রাতোয়া আঁধার এলেই মস্তক জ্বলে
বিছানের চাঁদরটা এবড়ো-থেবড়ো
আর ঈদুরের দাঁতের কামড় খেয়ে
নরম গালগুলো বল্ল আমি কেন কষ্ট পাচ্ছি?
তখন দেয়ালের টিকটিকি বল্ল, ঠিক! ঠিক।
রুপে সত্য প্রকাশ পায়না চিরদিন সত্য
চরিত্রের বৈশিষ্ট প্রকাশ পায় ব্যাবহারে
প্রকাশ্য মিষ্টভাষী বড়ই সভ্য ভদ্র হয়
ওয়েষ্টার্ন নিয়মে তাকে যাচাই করো-
আন জেনে নাও সে কতবড় মুখোশ-দানব।
এইসব নিয়মে প্রতিদিন যে শরীরগুলো
ঘরের কপাট লাগায় নষ্ট নিয়ম নীতে
সেখানে প্রতিবাদ বে-মানান বটে! কারণ
সমাজের এক শ্রেণী তাদের দালাল রয়
যারা সত্যকে মিথ্যা জাহির করতে পটু।
ওয়েষ্টার্ন নিয়ম যদি পুষবেই তবে-
তোমরা তা প্রকাশ্য করো এবং সবাই জানুক
তুমি/তোমরাও ওয়েষ্টার্ন প্যাটানের চরিত্র
ন্যাংটা হয়ে পড়ো আর গোপন থেকোনা
মনে রেখো, মুখোশ একদিন প্রচার হয়ে যাবেই।
সেদিনের কলংক সহ্য করতে এখনই
ন্যাংটা হয়ে পড়ো এবং তুমি প্রকাশ হও
এতে এটা হবে সবাই জানবে তুমি’র চরিত্র
প্রকাশ হবার ভয় থাকলো না এবং একদিন
একশো জুতার বাড়ী থেকে বেঁচে যাবে।
খোলস হতে বের হও, প্রচার ও প্রকাশ থাকো-
গোপন থেকো না। জেনে রেখ, ধরা পড়বেই!
জানতো বাঙ্গালী সমাজ চোর ধরলে-
কেমন করে পেটায়?
হে মুখোশ মানুষ বদলাও এবার……।

