সর্বশেষ
17 Dec 2025, Wed

কেন্দুয়ায় দুইদিন ব্যাপী বেসরকারি প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

মাজহারুল ইসলাম উজ্জ্বল
কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ

কেন্দুয়া উপজেলার কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের আওতাধীন দুইদিনব্যাপী বেসরকারী প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার প্রথম দিনের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে সায়মা শাহজাহান একাডেমি কেন্দ্রে পরীক্ষা শুরু হয়ে দুপুর ১২.৩০ মিনিটে শেষ হয়।

কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এই বৃত্তি পরীক্ষায় ৪৩টি প্রতিষ্ঠানের মোট ২৯২ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়।

পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন কেন্দুয়া উপজেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের সভাপতি জসিম উদ্দিন আহমেদ খোকন।

পরীক্ষায় হল সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সায়মা শাহজাহান একাডেমির প্রধান শিক্ষক মোঃ শহিদুল ইসলাম ভুঞা।সহকারি হল সুপারের দায়িত্ব পালন করেন সায়মা শাহজাহান একাডেমির সহকারী শিক্ষক আব্দুল মতিন।কেন্দ্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, কিন্ডার গার্টেন এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির।পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করেন জমিলা মেমোরিয়াল বিদ্যা নিকেতন এর পরিচালক মোঃ লুৎফর রহমান।

এছাড়া পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন, ফুলকলি বিদ্যা নিকেতন এর শিক্ষক আবু সাঈদ মিল্কী, মীর হোসাইন কিন্ডারগার্টেন এর শিক্ষক সাংবাদিক মজিবুর রহমান ও বাকী নুর কিন্ডার গার্টেন এর শিক্ষক মন্জু মিয়া।পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করেন,পাইকুড়া ফ্রি ক্যাডেট এন্ড হাই স্কুলের পরিচালক কামরুল ইসলাম। এবং স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে পরিদর্শক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন শাহীন খন্দকার।

কেন্দুয়া উপজেলা কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের সভাপতি জসিম উদ্দিন আহমেদ খোকন বলেন, বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ, মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং প্রতিযোগিতামূলক মানসিকতা গড়ে তুলতে বৃত্তি পরীক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। এ ধরনের পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাঠভিত্তিক দক্ষতা মূল্যায়নের পাশাপাশি মনোযোগ, আত্মবিশ্বাস ও সময় ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে প্রাথমিক স্তরে নিয়মিত মূল্যায়ন শিশুদের শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই কেন্দুয়া উপজেলার প্রতিটি শিক্ষার্থী যেন সমান সুযোগ পায় এবং নিজের মেধা যাচাইয়ের একটি ন্যায়সংগত ক্ষেত্র তৈরি হয়। সে লক্ষ্যেই এই বৃত্তি পরীক্ষাকে শুধু নিয়মিত আয়োজন নয়, বরং আরও বিস্তৃত পরিসরে ও কাঠামোবদ্ধভাবে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বৃদ্ধি, প্রশ্নপত্রের মানোন্নয়ন এবং স্বচ্ছ মূল্যায়ন পদ্ধতি নিশ্চিত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *