
মাজহারুল ইসলাম উজ্জ্বল
কেন্দুয়া ( নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা ওয়াই হাফিজিয়া দাখিল মাদ্রাসায় গ্রামীণ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (জি-ই-ডি-এফ)এর উদ্যোগে দশম মেধাবৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রাথমিক, কিন্ডারগার্টেন ও ইবতেদায়ী স্তরের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।
এবারের পরীক্ষায় ১৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট ২০০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়।অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছিলঃ-
ভরাপাড়া ফাজিল মাদ্রাসা, ওয়াই হাফিজিয়া দাখিল মাদ্রাসা,আঙ্গারোয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাশাঁটী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয,ওয়াই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বান্দনাল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিদ্যাবল্লভ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভরাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চিকনী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডুমদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাড়ইগাও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, জহুরবানু সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাখড়া কমিউনিটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিবপুর হোসনে আরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মগড়াইল রৌদ্র কিন্ডার গার্টেন,গাড়াউন্দ আদর্শ কিন্ডার গার্টেন।
পরীক্ষার কেন্দ্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ওয়াই হাফিজিয়া দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার তোফায়েল আহমেদ। হল সুপার ছিলেন বাশাঁটী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান এবং সহকারী হল সুপার ছিলেন আঙ্গারোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জুয়েল আহমেদ।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন ভরাপাড়া কামিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলাম এবং পর্যবেক্ষক ছিলেন গড়াডোবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম।পরিচালনায় ছিলেন গড়াডোবা আব্দুল হামিদ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক শেখ ইকবাল হোসেন লিটন।
পরীক্ষা পরিদর্শন করেন কেন্দুয়া কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জসীম উদ্দিন আহমেদ (খোকন),সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির ও সাবেক আহ্বায়ক মো. লুৎফর রহমান।
জি-ই-ডি-এফ পরিচালক শেখ ইকবাল হোসেন লিটন জানান, “২০১১ সাল থেকে আমরা এই বৃত্তি পরীক্ষা চালু করেছি এবং আজীবন এটি অব্যাহত রাখার লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছি। পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে আমরা কোনো প্রকার ফি নেই না, বরং পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট সবার জন্য সম্মানী ভাতার ব্যবস্থাও করে থাকি।”
পরিদর্শক জসীম উদ্দিন আহমেদ খোকন বলেন, “শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ ও প্রতিযোগিতামূলক দক্ষতা বৃদ্ধিতে বৃত্তি পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের উদ্যোগ শিক্ষার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।” তিনি নিয়মিত ও আরও ব্যাপক পরিসরে বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
