
কোহিনূর আলম, কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোণার কেন্দুয়া থানায় ২০২৫ সালে গত ১০ মাসে ৩৪টি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে থানা পুলিশ সূত্রে।জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে অপমৃত্যু প্রতিরোধ সম্ভব।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এ সব অপমৃত্যু মামলার ঘটনা ঘটে।মামলার তথ্যমতে,গলায় ফাঁস নিয়ে ১৫, বিষপানে ৪, পানিতে ডুবে ৮, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৬ এবং বজ্রপাতে ১জন।দেখা যায়,এতে গড়ে প্রতি মাসে ৩.৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।তাছাড়া এই ৩৪ জনের মধ্যে পুরুষ ও নারী লিঙ্গের সংখ্যা ২০ ও ১৪ জন।
এ সব অপমৃত্যুর কারণ হিসেবে ওঠে আসে,পারিবারিক কলহ ও অভিমান,প্রেম ও আবেগ,সামাজিক ঐক্যের অভাব, মরণব্যাধি,বিষ বা কীটনাশকের সহজলভ্যতা,বিষণ্নতা,একাকীত্ব, অভিভাবকদের সচেতনতার অভাব ইত্যাদি।
এই অপমৃত্যু থেকে সমাজকে রক্ষা করতে হলে আমাদের সমাজের সুধী সমাজ, বিভিন্ন সংস্থা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসনিক জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। কখনো কখনো পারিবারিক নির্যাতন থেকেও ঘটে এ মৃত্যুর ঘটনা।এ ক্ষেত্রে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।এমন অভিমত ব্যক্ত করেন কেন্দুয়া প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো.রফিকুল ইসলাম রফিক।
কেন্দুয়া সরকারি কলেজের প্রভাষক আব্দুল কাদির নয়ন বলেন, সরকারিভাবে বিভিন্ন কাউন্সিলিং এর ব্যবস্থা, পারিবারিক সচেতনতা বৃদ্ধিসহ ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বাড়াতে হবে।অপমৃত্যু ঠেকাতে স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিয়ে সেমিনারের পাশাপাশি সংবাদ মাধ্যমে প্রচারণাও বাড়াতে হবে বলে তিনি মনে করেন।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, অপমৃত্যু কোনোভাবেই কাম্য নয়। অপমৃত্যু রোধে আমরা বিট পুলিশিং এর মাধ্যমে উঠোন বৈঠকসহ সচেতনতানূলক কার্যক্রম চলমান রেখেছি।সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি জরুরি। তাছাড়া শিশু ও বৃদ্ধদের প্রতি পারিবারিক এবং সামাজিক দায়িত্ববোধ বাড়াতে হবে।তাহলেই এ সব অপমৃত্যু মামলা কমে আসবে ভবিষ্যতে।
