সর্বশেষ
14 Nov 2025, Fri

মদনে নায়েকপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের বেহাল দশা,ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম

মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ

নেত্রকোনার মদন উপজেলায় নায়েকপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের বেহাল দশা,এতে দুর্ভোগে পড়েছে নায়েকপুর ইউনিয়নের জনগন।

সরেজমিনে গেলে দেখা যায়,অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও জরাজীর্ণ ভবন,ওষুধ সরবরাহ বন্ধ, জনবল সংকটসহ নানা সমস্যা নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম।ধসে পড়ছে ভবনের ছাদের পলেস্তরা,বেরিয়ে পড়েছে রড়। এতে ভবনটি যেকোন সময় ধসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটনার আশস্কা করছেন সেবাগ্রহীতা ও স্থানীয়রা।

জানা যায়,নায়েকপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রটি উপজেলা হতে দুরত্ব প্রায় ১০-১১ কিলোমিটার।১৯৮০ সালে রাজতলা মৌজায় ৪৫ শতক ভুমির মধ্যে স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও দুই ইউনিটের স্টাফ কোয়ার্টারসহ নির্মাণ করা হয়। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও ভবন গুলোর সংস্কার করা হয়নি।বর্তমানে ভবনের ছাদের ওপর বটগাছসহ অন্যান্য পরগাছা জন্মে শেকড় ছাদের ভেতরে ঢুকে গেছে। দরজা জানালা ভাঙ্গা ভবনটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।এ ছাড়াও ভবনের ছাদও দেয়ালে ফাটল সৃষ্টি হওয়ায় অল্প বৃষ্টিতে ভেতরে পানি ঢুকে নষ্ট হচ্ছে আসবাবপত্র।

ভবনটি দ্রুত সংস্কার বা নতুনভাবে নির্মাণ করে পর্যাপ্ত ওযুধ ও চিকিৎসা সেবা প্রদানের দাবি জানান স্থানীয় এলাকাবাসী।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়,নায়েকপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদে ১ জন,পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ১ জন,ফার্মাসিস্ট ১ জন,নিরাপত্তা প্রহরী ১ জন ও আয়া পদে ১ জনসহ মোট পাঁচজন জনবল কর্মরত থাকার কথা। বর্তমানে শুধুমাত্র পরিদর্শিকা ১ জন ও আয়া পদে ১ জন রয়েছে।নায়েকপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে দায়িত্বরত পরিবার কেন্দ্র পরিদর্শিকা, রুমা আক্তার বলেন,আমি এ কেন্দ্রে নিয়মিত স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছি।ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।অল্প বৃষ্টি হলেই কক্ষগুলোতে পানি পড়ে।গত দশ মাস ধরে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।ওষুধ ছাড়া গর্ভবতী মায়েদের চেকআপ ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সেবা দেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জান্নাত আফরোজা বলেন,ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি পরির্দশন করেছি,ভবনটি সংস্কার করা খুব জরুরী হয়ে পড়েছে।বিষয়টি উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।এ জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে আবেদনও করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *