-সৈয়দ সময়

একদিন বিকেলের লাল আকাশে
তুমি রেখে গেলে আমার হাতে একজোড়া কাঁচের চুড়ি,
যেনো যুগল চাঁদ ডুবে থাকা নদীর বুকে
নীরব স্রোতের মতো ঝলমল করছিল।
সে চুড়ির রঙে লুকিয়ে ছিলো তোমার চোখের জ্যোতি,
তোমার বুকের নিঃশ্বাস,
আর তোমার হাতের নরম কাঁপন
আমি শুনেছিলাম,
সেই শব্দে প্রতিধ্বনিত হয়েছিলো
মহাকালের সকল প্রেমের গান।
প্রেম কি তবে কাঁচের চুড়ির মতোই?
স্বচ্ছ, কোমল, দীপ্ত, আলোয় রঙিন
তবু ক্ষুদ্রতম আঘাতেই চূর্ণ হয়,
যেমন মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ভেসে যায় কাগজের নৌকা।
তবু হে প্রিয়,
যখন ভেঙে যায় কাঁচের চুড়ি,
তার প্রতিটি টুকরোয় জন্ম নেয়
নতুন রঙের স্বপ্ন,
নতুন সুরের মায়া।
তুমি কি জানো?
ভাঙা কাঁচের টুকরো যখন সূর্য আলোয় ঝলসে ওঠে,
তখনও সেখানে আমি দেখি
তোমার মুখ, তোমার অশ্রু, তোমার অমর ভালোবাসা।
এই প্রেম তাই ভাঙলেও ভাঙে না,
যেন মহাকাল জুড়ে রয়ে যায় তারার দীপ্তি,
যেন প্রতিটি চুড়ির শব্দে
শত শত বছর পরেও
গেয়ে ওঠে সেই চিরন্তন গান:
“প্রেম ভাঙে না,
প্রেম অমর,
প্রেমের নামই চিরজীবন।”
