সর্বশেষ
15 Nov 2025, Sat

কেন্দুয়ায় বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, গ্রেফতার ১

কোহিনূর আলম,কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ

নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় ধর্ষণ ও সহায়তা করাসহ মারপিট করে সাধারণ জখম ও খুন জখমের ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী এক নারী।

ভুক্তভোগীর নাম মোসা: হাবিতারা আক্তার (৩৭), গ্রাম-তারাকান্দিয়া, ইউপি-নওপাড়া, থানা-কেন্দুয়া, জেলা- নেত্রকোণা।রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর)তিনি ৩ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এই মামলা দায়ের করেন।

আসামিরা হলেন, ১.একরামুল হক (২৫) পিতার নাম: রোকন মিয়া, ২. রোকন মিয়া (৫০), পিতার নাম: মৃত কাঞ্চন মিয়া, ৩. রুহুল আমীন (৪০), পিতার নাম: মৃত সাহেদ আলী, সর্ব সাং- গ্রাম-ছিলিমপুর, ইউপি-চিরাং, থানা-কেন্দুয়া, জেলা-নেত্রকোনা।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, হাবিতারা আক্তারের স্বামী আজিজুল হক নরসিংদী জেলায় কাজ করতেন। হাবিতারা সন্তানদের সাথে নিয়ে একাকী গ্রামের বাড়ি থাকার সুবাদে বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে একরামুল হকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে বিয়ের প্রলোভনে গত ০৪ সেপ্টেম্বর তারাকান্দিয়া সাকিনস্থ জনৈক জরিনা বেগম এর বসতবাড়ীর বৈঠক ঘরে ধর্ষণের শিকার হন। স্থানীয় লোকজন ও তার স্বামী জেনে যায় এবং স্বামী তাকে তালাক দিতে চাইলে, গত ০৭ সেপ্টেম্বর নিরুপায় হয়ে একরামুলের সাথে যোগাযোগ করলে তাকে নিয়ে ছিলিমপুরের একটি বাঁশঝাড়ে আবারো ধর্ষণ করে এবং বিয়ের কথা বললে বিয়ে করবে না বলে ক্ষুব্ধ হয়ে মারধর করতে থাকে। তখন বাদীর ডাক চিৎকার শুনে বিবাদীর বাবা এলে তাকে ঘটনার কথা বললে বাদীকে উল্টো গালাগালি করতে থাকে।ঐ সময় রুহুল আমীন নামে অন্য একজনও বাদীকে মারধর করতে শুরু করলে পুনরায় বাদীর ডাক চিৎকারে অনেকে এসে হাজির হয়ে তাকে রক্ষা করেন।

এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন,ইতিমধ্যে আমরা রোকন মিয়া (৫০)কে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছি এবংবাকী দুজনকেও গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *