
ডেস্ক রিপোর্টঃ
বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। ধান,পাট, সবজি আর ফসলের সমৃদ্ধিতে এই মাটিই হাজার বছরের সভ্যতাকে বাঁচিয়ে রেখেছে।সেই কৃষকের মুখের হাসিই জাতির উন্নয়নের প্রতীক।কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য হলো আজও নেত্রকোনার বিস্তীর্ণ হাওর অঞ্চলে কৃষকরা বজ্রপাত ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভয়াবহ ঝুঁকিতে প্রতিদিন কাজ করছেন।
মাঠে কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা যেন এক নির্মম নিয়মিত সংবাদে পরিণত হয়েছে। একই সঙ্গে প্রখর রোদে ও প্রচণ্ড গরমে মাঠের বুক ফুঁড়ে কাজ করতে গিয়ে পানির অভাবে হাহাকার করছেন কৃষকেরা। বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা না থাকায় শ্রমজীবী মানুষকে প্রায়ই জীবনবিপন্ন অবস্থায় পড়তে হচ্ছে।
এই বাস্তবতায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাওর অঞ্চলে অবিলম্বে কৃষক ছাউনী নির্মাণ এবং গভীর নলকূপ বা সাবমারসিবল টিউবওয়েল স্থাপন করা এখন সময়ের দাবি। এতে একদিকে বজ্রপাত, ঝড়-বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির সময় কৃষকরা নিরাপদ আশ্রয় পাবেন, অন্যদিকে গরমে তৃষ্ণা মেটাতে পারবেন বিশুদ্ধ পানির মাধ্যমে।
স্থানীয় কৃষকরা মনে করছেন, সরকারের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হলে কৃষি উৎপাদন বাড়বে, কর্মশক্তি অটুট থাকবে এবং কৃষকদের মনোবল বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে। আর এটিই হবে সরকারের কৃষকবান্ধব উন্নয়ন দর্শনের বাস্তব প্রতিফলন।
কারণ,কৃষক মানেই জাতির প্রাণ। কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। নেত্রকোনার হাওর যেন আর মৃত্যুর মাঠ না হয়ে উঠে সেটিই এখন সরকারের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব।
