
মদন(নেত্রকোনা)প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনার মদনে পল্লী বিদ্যুতের অতিরিক্ত বিলের কারণে প্রায়ই হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ গ্রাহকরা।অনেককেই আবার গুনতে হচ্ছে জরিমানা।এদিকে গ্রাহকরা বিলের কাগজ সঙ্গে নিয়ে জরুরী কাজ ফেলে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে অভিযোগ করেন। এতে কোন সুফল পাচ্ছে না গ্রাহকরা।
ভুতুড়ে বিল নিয়ে আসা একজন গ্রাহক তিয়শ্রী ইউনিয়নের বৈঠাখালী গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে সানাজুল ইসলাম। তার আবাসিক মিটারে জুলাই মাসের বিল এসেছিল ৬ শত টাকা,কিন্ত আগষ্ট মাসে বিল এসেছে ১৮ হাজার ৫০০ হাজার টাকা।একই গ্রামের ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে শমশের আলীর জুলাই মাসের বিল আসে ৫১৩ টাকা,আগষ্ট মাসে হয়ে যায় ৭ হাজার ৯৮২ টাকা।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী গ্রাহক শমশের মিয়া, সানাজুল ইসলাম ও গোলাম রসুল খান বলেন, আমাদের নামের মিটারে আমরা বিল পরিশোধ করে থাকি। আগষ্ট মাসের বিল দেখে আমরা সবাই হতবাক হয়েছি। এ রকম ভুল তারা কীভাবে করে। তবে আমরা বাড়ির কাজ কর্ম ফেলে আজ বুধবার উপজেলা অফিসে ডিজিএম স্যারের নিকট আসলাম। এসে স্যারকে পাইনি। অফিসের লোকজন বলতেছে এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ দেয়ার জন্য।
শুধু শমশের মিয়া, সানাজুল ইসলাম ও গোলাম রসুল খানেই নন,সম্প্রতি এভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে মদন উপজেলার একাধিক সাধারণ গ্রাহক। ফলে পল্লী বিদ্যুতের দায়িত্বশীল কর্মচারীদের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ।
মিটার রিটিং কাম মেসেনজার রাদিন বলেন, ইউনিটে যা ছিল তাই আমি নিয়ে এসেছি। এতে আমার কোন ভুল ছিল না।
এ বিষয়ে নেত্রকোনার মদন পল্লী বিদ্যুত সমিতির এজিএম মোঃ নাজমূল হক খান বলেন,ডিজিএম স্যার ছুটিতে আছেন। এ বিষয়টি মূলত স্যার দেখেন। আমি কোন মিটারের ক্রটি আছে কিনা,কোন সংযোগে সমস্যা হচ্ছে কিনা এ বিষয়টি দেখি। যারা এ বিষয়ে অভিযোগ নিয়ে এসেছে উনাদেরকে বলেছি অভিযোগ দিয়ে যাওয়ার জন্য। স্যার আসলে কেন এমন হয়েছে বিষয়টি মিটার যাচাই বাছাই করে দেখা হবে।
ভুতুড়ে বিল আসার কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, আসলে যারা রিডিং লিখে আনেন হয়ত একটা ডিজিট ভুলে বেশি লিখে থাকতে পারে, সেজন্য বিল বেশি আসছে। তবে যে কোনো সমস্যা আমাদের জানালে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করব।
নেত্রকোনার মদন পল্লী বিদ্যুত সমিতির ডিজিএম মোঃ রফিকুল ইসলাম তার মোবাইল ফোনে জানান, আমি ছুটিতে আছি। তবে এমন অভিযোগ থাকলে তদন্ত করে সংশোধনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুতের জিএম আকরাম হোসেন বলেন, বিদ্যুতের মিটারের রিডিং যদি সঠিক থাকে তাহলে আমাদের করার কিছুই নেই। আর মিটারের রিডিং এ যদি কোন সমস্যা থাকে তা তদন্ত করে দেখব।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অলিদুজ্জামান বলেন, এমন অভিযোগ থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
