সর্বশেষ
15 Nov 2025, Sat

মদনে গার্ডার ব্রীজ নির্মাণে অনিয়ম:ধসে গেল এ্যাপ্রোচ

মদন(নেত্রকোণা)প্রতিনিধিঃ

নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে গার্ডার ব্রীজ নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার আমিনূল ইসলাম নামীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠাটির বিরুদ্ধে।

নির্মাণের ২ মাস পরেই সামান্য বৃষ্টিতে ব্রীজের দুই পাশের এ্যাপ্রোচ ধসে যাওয়ায় চলাচলের চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওই এলাকার সাধারণ লোকজন।সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হয় প্রায় দুই মাস গেল। এর পরেই দুই পাড়ের এ্যাপ্রোচ ধসে যায়। তবে এ নিয়ে এলাকাবাসী বলছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি শুরু থেকেই নিন্মমানের সামাগ্রী ব্যবহার করে। আমরা এ বিষয়ে কথা বললেও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কাজটি করে যাওয়ায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। সেতু নির্মাণে যে বরাদ্দ ছিল তার চারভাগের একভাগ অর্থ ব্যয় করা হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় জনগন।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, দূযোর্গ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় অধিদপ্তর হতে ফতেপুর ইউনিয়নে হাসনপুর মনোপাড়া হাদিস মিয়ার বাড়ির নিকট নিয়ামাখালী খালের উপর গ্রামীণ রাস্তায় ১৫ মিটার গার্ডার দৈর্ঘ্য পর্যন্ত সেতু/ কালভার্ট নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পে ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে কেন্দুয়া উপজেলার আমিনূল ইসলাম নামীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি কাজ পায়। যার কার্যাদেশ মূল্য ১ কোটি ৭ লাখ ৯১ হাজার ৭২০ টাকা।

এ নিয়ে হাসনপুর গ্রামের মহেন্দ্র চন্দ্র বর্মন,নরেন্দ্র চন্দ্র বর্মন,হাদিস মিয়া, আসদ মিয়া বলেন, এর আগে এখানে বর্ষাকালে বাশেঁর একটি সেতু থাকত এটাই ভাল ছিল। ঠিকাদার যেভাবে কাজ করছে কিছু বললেই ক্ষমতার দাপট দেখাইছে। যেভাবে মনচায় এভাবেই কাজ করে গেছে।সেতুর দুই পাড়ে যে ইট দিছে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে পড়ে গেছে। এখন এই সেতু দিয়ে মালামাল আনতে গেলে ভয়ে ভয়ে আনতে হয়।সেতু নির্মাণে যে বরাদ্দ ছিল তার চারভাগের একভাগ অর্থ ব্যয় করা হয়েছে।দুই পাড়ে যেভাবে ইট দিয়েছে বর্ষাকালেই সব ভাইঙ্গা পড়বে। আর কিছুই থাকব না। বিষয়টি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের লোকজন দেখার জন্য তারা আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে।

ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান সামিউল হায়দার সফি জানান,আওয়ামী লীগের ঠিকাদার আমিনূল। কাজটি শুরু থেকেই ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কাজটি নিন্মমানের করে। এ নিয়ে আমি তাকে বার বার বলেছি। বিষয়টি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে বলেছি।

এ বিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রোপ্রাইটর আমিনুল ইসলাম বলেন, নিন্মমানের কাজ করার কোন সুযোগ নেই। সেতুটি নির্মাণের সময় অনেক কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন। তবে সেতুর দুই পাড়ের এ্যাপ্রোচ ধসে গেল কেন? এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও জানান, নতুন মাটিতে এ্যাপ্রোচের কিছু ইট সড়ে গেছে। বৃষ্টি কমলে দুই পাড় আবার মাটি দিয়ে নতুন করে এ্যাপ্রোচ করা হবে। আমরা কিন্ত‘ কাজটি শেষ করেছি। এখন পর্যন্ত কাজের বিল পাইনি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, এ্যাপ্রোচের মাটি সড়ে গেলে ঠিকাদার কাজটি করে দেবে। আমরা এখনো সম্পূর্ণ বিল পরিশোধ করি নাই।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অলিদুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমি আপনাদের মাধ্যমে অবগত হয়েছি।তবে সেতু নির্মাণে কোন ত্রুটি থাকলে সরেজমিনে পরিদর্শন করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *