সর্বশেষ
14 Nov 2025, Fri

কেন্দুয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভাঙচুর,লুটপাট: নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ

কোহিনূর আলম, কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ

নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসা শেষে আবারো অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর ঘটনায় হামলা,ভাঙচুর, লুটপাট এবং নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দীর্ঘদিনের সমস্যা বিরাজমান ছিলো ১৪নং মোজাফরপুর ইউনিয়নের মোজাফরপুর গ্রামের সম্পাদূর্গা পাড়া এলাকায়।এ নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য সালিসি হলেও কোন সমাধান হয়নি। সর্বশেষ ২১জুন দু’পক্ষের সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হন।মো.কালা মিয়াও আহত হয়ে চিকিৎসা সেবা নিয়ে সুস্থ হয়ে এলাকায় ফিরেও আসেন।পরে আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর গত ৯ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন তিনি।এরপর পর্যায়ক্রমে গত ১০ জুলাই ভোরে ও ১২ জুলাই রাতে প্রতিপক্ষের বসত ঘর,বৈঠক ঘর, গোয়াল ঘর ও রান্না ঘরে ব্যাপক হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,মো. আলী উসমান (৬৫), ফজলুল হক (৪০), নাজিমুল হক বাচ্চু মিয়া (৫০), আতাউর রহমান (৭০), মিরাশ উদ্দিন (৬০), আসাদুজ্জামান (৫০) ও সানাউল্লাহ (৩০)সহ অনেকের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুরের চিহ্ন। বাড়ির ত্রি সীমানায় নেই পরিবারের কোন সদস্য।বিভিন্ন ভয় ও আতঙ্কে কাটাচ্ছেন ফেরারি জীবন।

কথা হয় স্থানীয় কয়েকজনের সাথে।তারা বলেন,কালা মিয়া মারা যাওয়ার পর তাদের পক্ষের লোকজন বিশেষ করে পোলাপানেরাই এ সব ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে।

ভুক্তভোগী নাজিমুল হক বাচ্চু ও আতাউর রহমানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তারা বলেন, গত ২১ জুন জমি নিয়ে মারামারিতে উভয় পক্ষের কয়েকজন লোক আহত হয়। এর মধ্যে প্রতিপক্ষের কালা মিয়াও আহত হন এবং চিকিৎসা সেবা নিয়ে সুস্থও হয়ে উঠেন।কিন্তু পরবর্তীতে তিনি আবার হাসপাতালে ভর্তি হন ও মারা যান।এরপর থেকেই আমাদের বাড়ি – ঘরে শুরু হয় নারকীয় ভাঙচুর ও লুটপাট। মুখলেছুর রহমান ওরফে মজলিস মিয়া (৫০), শাহ আলম (৩৫), কাইয়ুম (২৮), মনির (২৫), লতিফ (৫৫), হাফিজুর (৩৮)সহ অনেকে এই ভাঙচুর ও লুটপাটের সাথে জড়িত।তারা আরো বলেন, সব মিলিয়ে আমাদের পক্ষের প্রায় কোটি টাকার উপরে লুটপাট এবং ভাঙচুর করা হয়েছে।বর্তমানে আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

মৃত কালা মিয়ার ছেলে মো.কাইয়ুম মিয়া (২৮) বলেন, তাড়াইল থানাধীন সনাটি গ্রামের আমার খালাতো ভাইদের জায়গা নিয়ে প্রতিপক্ষের সাথে ঝামেলা ছিলো অনেক দিন যাবত।আমার বাবা যেদিন আহত হয়, সেই দিন ঢাকা থেকে বাড়ি পৌঁছা মাত্রই অতর্কিত হামলা করে আহত করে ও পরে বাবা মারা যায় । তিনি আরো বলেন, প্রতিপক্ষের বাড়ি – ঘরে আমরা কেউ আক্রমণ বা লুটপাট করিনি। তারা নিজেরাই নিজেদের জিনিসপত্র সরিয়েছে ও ভাঙচুর করেছে।তাছাড়া দুপক্ষের মধ্যে মামলাও চলমান।

এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান মুঠোফোনে জানান, অভিযোগ পেয়েছি।তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *