
কোহিনূর আলম, কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোণার কেন্দুয়া থানাধীন পাইকুড়া ইউনিয়নে অবস্থিত পেমই পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রটির রয়েছে আলদা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়।তাছাড়া এখানে রয়েছে নারী ও পুরুষের জন্যে আলাদা হাজতখানা।রয়েছে-মালখানা রুম, অস্ত্রাগার রুম, জিজ্ঞাসাবাদ রুম, একটি মসজিদ, অজুখানা এবং শান বাঁধানো ঘাটের একটি পুকুর।তদন্ত কেন্দ্রটি এক সময় ক্যাম্প হিসেবেই পরিচিত ছিলো।
পাইকুড়া,মোজাফরপুর, রোয়াইলবাড়ি,আমতলা ও চিরাং ইউনিয়নের দায়িত্বে রয়েছেন এই তদন্ত কেন্দ্রের ইন্স: মো.তোফাজ্জল হোসেন।একদিন(২৬জুলাই)কথা হয় তার অফিস রুমে।তিনি আক্ষেপ করে বলছিলেন, আমরা আমাদের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে কাজ করি।৬ অক্টোবর ২০২৪ সালে এই তদন্ত কেন্দ্রে যোগদান করি আমি।এর চারপাশে ছিলো ঝোপঝাড়।এখন অনেকটাই পরিষ্কার করা হয়েছে। এলাকার মানুষ আগের চেয়ে বেশি আসছে এখন। মাদক, জুয়া ও অসামাজিক কার্যকলাপ কিছুটা হলেও কমেছে।কিন্তু এগুলো হাইলাইটস হয় না।আমাদের এসআই ২ জন ও এএসআই ২জন। অথচ দরকার ৪জন করে।এছাড়া কনস্টেবল ১২জন, ড্রাইভার ২জন। গাড়ি বলতে ছোট্ট একটি পিকআপ রয়েছে। তবে মোটরসাইকেল রয়েছে আমাদের।তিনি আরো বলেন, পরিচ্ছন্নতা কর্মী নেই,কম্পিউটার অপারেটর নেই,ফ্যামিলী কোয়ার্টার নেই।নেই মূল ফটকে নেইম-প্লেট পর্যন্ত। এমন সীমাবদ্ধতার পরও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি আমরা।বাংলাদেশ পুলিশ চ্যালেঞ্জের সাথে কাজ করতেই উপভোগ করে।এ ক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।
