
ডেস্ক রিপোর্টঃ
২৫ জুলাই(শুক্রবার) শ্রাবণের সন্ধ্যাটা ছিলো নজরুল সঙ্গীত শিল্পী মৌমিতা ধরের সঙ্গীতের মূর্ছনায় মুগ্ধতা ছড়ানো এক অনবদ্য আনন্দ আড্ডা।
সুরের এই আড্ডায় শিল্পীর কন্ঠে একে একে ১০ টি বিচিত্র পর্যায়ের সঙ্গীত পরিবেশিত হয়।
নজরুল, রবীন্দ্র, রজনীকান্ত সেন, রাধা রমন দত্ত, লালন ও আধুনিকসহ বিচিত্র অঙ্গের গান পরিবেশন করেন মৌমিতা।
মৌমিতা ধর সঙ্গীত চর্চায় ওস্তাদ সুনীল ধর, আজিজুর রহমান লিটনের কাছে পরবর্তীতে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সঙ্গীতে অনার্স, মাস্টার্স প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে সম্পন্ন করেন।তিনি টিভি ও বেতারের তালিকাভুক্ত রবীন্দ্র ও নজরুল সঙ্গীত শিল্পী। তাঁর স্বামী লোক সঙ্গীত শিল্পী শুভ বণিক। সংসারে রয়েছে এক কন্যা ঋপাংশী।
তিনি জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ্, নেত্রকোণার শিল্পী ও কুন্তল বিশ্বাস সঙ্গীত বিদ্যায়তনের প্রশিক্ষক। তাছাড়া প্রত্যাশা সাংস্কৃতিক একাডেমি ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর পরিচালিত সঙ্গীত ক্লাসের শিক্ষক।
আর আনন্দ ধারা হচ্ছে মাসিক সঙ্গীতের আসর। প্রথম পর্বে সঙ্গীত পরিবেশন করেন ওস্তাদ স্বপন কুমার সরকার, দ্বিতীয় পর্বে সুদর্শন বিশ্বশর্মা গান করেন।এটি প্রতি মাসের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানটি বাচিক শিল্পী পহেলী দে সঞ্চালনা করেন। তবলায় ছিলেন সুব্রত রায় টিটু ও মন্দিরায় এড. পূরবী কুন্ডু। কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও শিল্পী সম্পর্কে অনুভূতি ব্যক্ত করেন বীরমুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক বাচ্চু। আয়োজনটি জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ্, নেত্রকোণা শাখার ফেসবুক গ্রুপ থেকে সন্ধ্যা ৭:১৫ মিনিটে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়ে চলে প্রায় ১ঘন্টা বিশ মিনিট।
তার গাওয়া গানগুলোর মধ্যে ছিলো- এই করেছো ভালো নিঠোর হে, আমার হাতে কালি মুখে কালি, এই সুন্দর স্বর্ণালি সন্ধ্যায়, নীলাম্বরী শাড়ি পরি নীল যমুনায় কে যায়, মাধবী মধুপে হোলো মিতালী, এতো বড় আকাশটাকে ভরলে জোছনায়, আমার বন্ধু দয়াময়, পিরিতে আমার কলিজা অঙ্গার, পাড়ে লয়ে যাও আমায়, সত্য কাজে কেউ নয় রাজি ইত্যাদি গান।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই রাজধানী ঢাকার মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দূর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীদের স্মরণ ও আহতদের জন্য সুস্থতা প্রার্থনা করা হয়।
