
মাজহারুল ইসলাম উজ্জ্বল
কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় কান্দিউড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের (ইউপি) সদস্য শাপলা আক্তারের বিরুদ্ধে সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
কান্দিউড়া ইউনিয়নের দীঘলকুর্শা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিম মিয়া সহ (রাজিবপুর) গ্রামের স্থানীয় জনগণের একাংশ কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রাজিবপুর গ্রামের শাপলা আক্তার, তার নিজ গ্রামে অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ বাড়ির সামনে থেকে একই ওয়ার্ডের গোলাম রাব্বানীর বাড়ি পর্যন্ত এবং একই ওয়ার্ডে পাতাইরা পাড়া পারিবারিক কবরস্থানের নামে কৌশলে সরকারি প্রকল্পের বাজেটের টাকা আত্মসাৎ করেছেন এবং প্রকৃত কাজে তা ব্যয় না করে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছেন।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী দীঘলকুর্শা (রাজিবপুর) গ্রামের বাসিন্দা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সেলিম বলেন, ইউপি সদস্য শাপলা আক্তারের স্বামী প্রয়াত হারেছ মিয়া মারা যাবার পর আমরা গ্রামবাসী একক সিদ্ধান্তে শাপলা আক্তারকে ইউপি সদস্য নির্বাচিত করে ইউনিয়ন পরিষদে পাঠাই। কিন্তু শাপলা আক্তার আমাদের ওয়ার্ডে রাস্তা সংস্কার, কবর স্থানে মাটিভরাটের নামে সরকারি প্রকল্প এনে আত্মসাত করেছে। তাই আমরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে বাধ্য হয়েছি।
একই গ্রামের বাসিন্দা অভিযোগ কারী মাসুদ মল্লিক জানান, শাপলা আক্তার তার নিজ বাড়ির সামনে থেকে একই ওয়ার্ডের গোলাম রাব্বানীর বাড়ি পর্যন্ত এবং একই ওয়ার্ডে পাতাইরা পাড়া পারিবারিক কবরস্থানের নামে ১লাখ ৫০ হাজার টাকা কোন দৃশ্যমান কাজ না করেই আত্মসাত করেছে। আমি সহ গ্রামবাসী শাপলা আক্তারের অনিয়ম দুর্নীতির বিচার দাবী করছি।
এছাড়াও একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, একাধিক প্রকল্পের কাগজে দেখানো হয়েছে কাজ শেষ, অথচ সেসব জায়গায় গিয়ে দেখা যায় কিছুই হয়নি। অথচ টাকা উত্তোলন হয়ে গেছে।
অভিযোগের বিষয়টি জানতে ইউপি সদস্য শাপলা আক্তারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,অর্থ আত্মসাতের অভিযোগটি সত্য নয়।কবরস্থানের টাকা উত্তোলন করে গ্রামবাসীর কাছে জমা রেখেছি আর রাস্তার কাজের টাকা উত্তোলন করেছি,কিছু কাজ করেছি বৃষ্টি-বাদল শেষ হলে বাকি কাজ করবো।
