
ডেস্ক রিপোর্টঃ
নেত্রকোণা পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত ধারিয়ার শেষ মাথা কানাইশাহ গোদারাঘাট হতে মৈশাখালী -হরিপুর পর্যন্ত পিডিবির প্রায় ১৬০০ মিটার বৈদ্যুতিক লাইনের বেহাল দশার কারনে প্রায়ই ঘটছে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
উক্ত লাইনটিতে কোন বৈদ্যুতিক খুঁটি নাই।আছে নিম্নমানের বাঁশের খুঁটি,তাছাড়া বাঁশ ঝাড়ের ভিতর দিয়ে, নদীর পাড় ঘেঁষে সংযোগ স্থাপন করায় উক্ত লাইনে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে বারবার দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে মানুষ সহ গবাদি পশু।
উল্লেখ্য,,মৈশাখালী গ্ৰামের সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম মনিরের বাবা ও চাচাত ভাই বিগত দিনে একইসাথে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে মারা যায়।
কিছুদিন পর একজন নারীও এই লাইনে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে প্রান হারায়।
বিগত বছরে ঝড় তুফানে গাছের ডাল ভেঙে বৈদ্যুতিক লাইন ছিঁড়ে নিচে পড়ায় ৪টি গরু ও ৩টি ছাগলের প্রাণহানি ঘটে।
এমতাবস্থায়, গত ৮ জুন ২০২৫ইং সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম মনিরের আপন ছোট ভাই নাসির মোল্লা একই লাইনে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে আটকে থাকলে, পথচারীর দৃষ্টিগোচর হলে বাঁশের লাঠি দিয়ে ছুটিয়ে সময় মতো নেত্রকোণা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় নাসির মোল্লা প্রাণে বেঁচে যায়,তবে নাসির মোল্লার হাত পুড়ে যায় ও গুরুতর আহত হয়।
ঝড় বৃষ্টির মৌসুমে তাই এলাকাবাসীর মনে চরম আতঙ্ক বিরাজ করে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে উক্ত বৈদ্যুতিক লাইনের সংস্কারের দাবী নিয়ে সাংবাদিকদের মাধ্যমে পিডিবির উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীর প্রাণের দাবী অবিলম্বে জড়াজীর্ণ ,মাটির কাছাকাছি বাঁশের খুঁটি দিয়ে নির্মিত উক্ত লাইনের বেহাল দশা থেকে উত্তরণের মাধ্যমে,সকল দুর্ঘটনা থেকে জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ কামনা করেন ভোক্তভোগী পরিবার সহ এলাকার সর্বস্তরের জনগণ।
